আমি আমার নবজাতক
প্রথম রূপ
আমি আমার নবজাতক
অন্ধকারে
সুখে থাকি কে তা বলেছে
আমি
বলিনি
তুমি
কেন বেঁধে নাও
জনসাধারণের
চেয়ে আমি তো দূরে নই
কোন
নবজন্ম আমার দুধের বোতল হবে
কবে
পাবো কাঠুরের পায়ের সংকেত
বাতাসকে
দিয়েছ তার প্রয়োজনীয় গতি
তার
সঙ্গে চলতে চলতে সভ্যতার ক্ষতি
আমার
মনের বনে কেন তর্ক জেগে থাকে
আমার
অন্ধকণা যত
তোমার
পায়ে লুটিয়ে আছে
গুঁড়ো
জবার মতো
আমার
সকল মাটি কাদায় ফুরোয়
তোমার
মনের মতো
পরীক্ষায়
কি কালী দেবে কালী কষতে দিয়ে
তোমার
ইচ্ছা ছাড়া আমি চলি কে তা বলেছে
তুমি
নিজে চালাও নিজে শাস্তি দাও
মা
তোমার সাদা জবা লাল করেছে
আমার
মনের ক্ষত
দ্বিতীয় রূপ
আমি আমার নবজাতক
তুমি অন্ধকারে অন্ধকার
কাঠে কাঠের ঘসা খেয়ে
যখন যুক্তি বয়ে যায়
তোমার দয়ায় মা-টি হয়
কাদা হয় না
তুমি মারীর কারণ হবে কেন
গতিবেগে
দাবানলে
আমার মা-টি আমার রাখো
তোমার খুশির সঙ্গে
শুকনো ইচ্ছা নেই
পায়ে পায়ে পাবলিকের
পাবলিক হয়ে
জনগণের চেয়ে কিছু দূরে
সকল ক্ষতি করুণায় দুধ হয়ে
যায়
সভ্যতার পরীক্ষা কেন দেব আমি
আমার মনের বনে
কেন তর্ক জেগে আছে
বাতাসের ক্ষয়ের রূপে
কাঠের অন্ধকার
পরীক্ষায়
কি কালী দেবে
কালী
কষতে দিয়ে
তোমার
ইচ্ছা ছাড়া আমি চলি
কে
তা বলেছে
তুমি
নিজে চালাও নিজে শাস্তি দাও
মা
তোমার বেরঙ ফুল রঙিন হল
আমার
মনের মতো
অতদূর দুধ কেবল
আমার মা-টি হয়
নতুন রূপের এই শাক্ত কবিতা খুব ভালো লাগলো।। সবচেয়ে বড় কথা আগের যারা লিখেছেন তাদের ছাপ নেই।। আরও চাই।। — প্রীতম
ReplyDeleteআমি সাহসী বলবো। এই রূপে কবিতা করা। তাকে নিজের নির্মাণে জড়িয়ে নেওয়া। একটা ধ্বক লাগে। অথচ সমস্ত ছায়া থেকে বেরিয়ে লেখাগুলি নিজেরাই অনআলোকের ছায়ায় নিয়ে যায়। এটা আমরা যারা তোমাকে ধারাবাহিকভাবে পড়ে আসছি তাদের কাছে এক বিশেষ প্রাপ্তি। খুব ভালো। নমস্কার - অভি সমাদ্দার।
ReplyDeleteঅনুপমের কবিতা পড়ছি আমি ২০০০ থেকে। তার কত কত ভাঙচুর আমি লক্ষ্য করেছি। ফলে যৎসামান্য তাকে নিয়ে ও তার কবিতা নিয়ে বলবার অধিকার জন্মেছে।
ReplyDeleteঅনেককেই দেখেছি ব্যক্তিগত অসূয়ার কারণে তার কবিতার বাইরে অবস্থান করে। এতে ক্ষতি দু'তরফেরই।
অনুপম আমার জানা সেই কবি যে তার প্রথম বই থেকেই নিপুণ স্রষ্টা।
মা - এক আধ্যাত্মবাদের নতুন চেতনা। কবিতায় এমন ভক্তিরসের উন্মোচন বিস্মিত করল। এক সনাতনি চেতনার স্তর গভীর আরাম পেল।
ReplyDeleteএও অনুপমের নতুন রূপের কবিতা
ReplyDeleteএও আরেক অন্যরকম স্বাদের কবিতা। মা-টির মতো।
ReplyDeleteবেশ লাগলো। তোমার কবিতার দ্রুত পরিবর্তনশীল মেজাজ সত্যি অবাক করা।
ReplyDeleteদু' রূপই জাগ্রত। পরিপূরক এক সত্তা। শব্দের গভীরে ফুটে উঠল রক্তজবা। সম্মান জানবেন।
ReplyDelete