বাক্‌ ১৪২ ।। অমিতাভ মৈত্র



ভয় 

নার্সের সাদা ধবধবে জুতোর মধ্যে
সাদা একগ্লাস দুধ অথবা মোজা এমনভাবে ঘুমিয়ে যে
সাদা চিনির একটা কিউব
তার ওপর আলগোছে নামিয়ে দিলেও ভয়ে কেঁপে উঠবে সে
আর চিৎকার করে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে সেই সাদা জুতো


অন্ধ বিন্দু 

উট বিস্মিত হয় যখন তার অন্ধ বিন্দুরা সয়ে যায় আর উদ্ভাসন আসে
তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির এ নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই
তবু বালির ওপর শ্বাস নামিয়ে সে যত্ন করে বিস্ময় তৈরি করে
আর এজন্য তার কিংবদন্তীর চরিত্র বদলে গেলেও সে থামে না


সাবান 

গলে যাওয়া কালো সাবানের ওপর
টলতে টলতে কালো পিঁপড়ে হেঁটে যাচ্ছে
আর একটানা বিড়বিড় করছে----
"অনুতাপ করার মতোও আর কিছু নেই আমার।"

সাদা পিঁপড়ে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে তার দিকে
একই ভাবে কাঁদতে কাঁদতে, চোখ মুছতে মুছতে।



পেরেক

পেরেক ডেকে আনে আরেক পেরেক কে
কিন্তু কে কাকে ডেকে আনে হেনরি জানে না
নিজের হাতে জাল করা টাকার সামনে
হেনরি এখন নিজের চোখে কাঁদছে
ইঞ্জেকশন আসলে পরিশোধিত রক্ষণশীল চিনি ছাড়া
আর কিছু নয়
পুরনো হাড়জিরজিরে পিস্তল
গুলির ব্যথায় ঘুমোতে পারছে না


ব্যর্থতা 

সিরিয়াস ঝুড়ির মতো মুখ আর পেছন নিয়ে
আমি রাস্তায় উপুড় হয়ে থাকি।
আমি কামড়াতে চাই নিজের হাত, আর এই রেমব্রান্ট।

রাস্তার কোনো গন্ধ নেই।
হাতের কোনো গন্ধ নেই।
আমার রেমব্রান্টের কোনো গন্ধ নেই।

3 comments:

  1. সব ক'টি কবিতাই ভালো লেগেছে...

    ReplyDelete
  2. আশ্চর্য সব কবিতা!
    কুর্নিশ কবিকে।

    ReplyDelete
  3. এই কবিতা আজীবন বহন করে চলব আমি।

    ReplyDelete