বাক্‌ ১৪২ ।। সনৎ মাইতি ।। একটি ফ্যান্টাসি পানু গল্প




১.

নতুন বিয়ে করেছি, সত্যি বলছি হেবি খুশি ছিলাম, একদম মনের মতো ফিগারের মেয়ে পেয়েছি। মাইরি কিশোর কুমারের মতো বলতে ইচ্ছে করেউফ কী দারুণ দেখতে চোখ দুটো টানা টানা, মাই দুটো ফোলা ফোলাঠোঁট দুটো ভেজা ভেজাউফ! কিন্তু এ খুশি টিকল না, বিয়ের প্রথম লাগানোর রাতেই আমি আবিস্কার করি বউ আসলে আমার বাঁড়ায় সন্তুষ্ট নয়। সে নাকি পানু সিনেমায় জনি সিন্সের বাঁড়ার মতো বাঁড়ার স্বপ্ন দেখত। এখন সত্যিকারের এত ছোট বাঁড়া হাতে পেয়ে তার মন ভেঙে গেছে। আমাকে প্রথম দিনই বলল বিছানায় পারফরমেন্স তো ঠিক আছে তবুও সে আমার বাঁড়ায় ঠিক সন্তুষ্ট নয়। যে গান্ডুগুলো বলত size doesn’t matter তাদেরকে এখন ক্যালাতে ইচ্ছে করে, বোকাচোদারা হয় মিথ্যে বলে না হলে কিসসু জানে না। যাইহোক এরকম মনোকষ্ট নিয়ে দিনগুজরান হচ্ছিল। বউ বাঁড়া চুষতে চায় না, টপ গিয়ারে থাকাকালীন কারও বউ যদি তার চুষেই না দেয় থোড়ি তাকে তার বউ ভালোবাসে? আর সত্যিই নিজের বাঁড়াটা দেখলে নিজেরই এখন মাঝেমাঝে লজ্জা পায়। এমন ছোট, সরু কঞ্চির মতো বাঁড়া আমারই কেন হল কে জানে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে ব্রুস অলমাইটির মতো ভগবানকে চেঁচিয়ে বলতে ইচ্ছে করে why god why me… বাঁড়া আর কেউ ছিল না। তুমি মাইরি মুরগি হিসেবে আমাকেই পেলে?
ভগবানে আমার হেবি বিশ্বাস ছিল ছোটবেলা থেকে কিন্তু এখন এমন সিচ্যুয়েশান যাচ্ছে যে ভগবানে আমার বিশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে এমন সময় সেই ঘটনাটা ঘটল। যা ভগবানে বিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়!

২.

এমন সমস্যা সবাইকে বলা যায় না, মানে কাউকেই বলা যায় না বস্তুত নিজের কোনও সমস্যার কথা কাউকে বলে লাভও নেই, বন্ধুবান্ধবদের তো নয়ই, চারজন লোককে যদি নিজের সমস্যার কথা বলা হয় চারজনই তুমি সমস্যায় আছো জেনে মনে মনে খুশি হবে, তারমধ্যে দু’জন মিথ্যে সহানুভূতি দেখাবে, পরে পিছনে হাসাহাসি করবে মানুষ এখন এরকম, কী লাভ লোকজনকে বলে!
আগে সব সময় চাকরিবাকরি ক্যারিয়ার এসবই নিয়েই ভেবেছি এসব বাঁড়ার সাইজ নিয়ে ভাবিনি, একটু লাজুক প্রকৃতির ছিলাম ফলে প্রেম-ফ্রেম তেমন হয়নি ভেবেছিলাম হেবি পড়াশুনা করে ঠিকঠাক চাকরি বাগালে একটা ডাঁসা মাল তো জীবনে জুটেই যাবে অনেক বিদেশি সিনেমা দেখতাম, পরবর্তী কালে পর্ন হাবের সাবক্রিপশানও  নিয়েছিলাম, ল্যাংটো মেয়ে প্রচুর দেখেছি, মানে দেখে দেখে এমন অবস্থা হয়েছিল যে কলেজ-টলেজের আমার বয়সি মেয়েদের পছন্দই হত না কেমন যেন সবাইকে শুটকি মাছ মনে হত তখন, শুকনো আর পচা গন্ধে ভরা আমি মনে মনে ড্রিম গার্ল কেমন হবে ফেঁদে রেখেছিলাম মুখটা শ্যারন স্টোনের মতো হবে, বুকটা আমাদের বলিউডের আয়েশা টাকিয়ার মতো হবে, পেটটা হবে পর্নস্টার লানা লোডসের মতো আর গলার স্বরটা হবে অ্যানজেলিনা জোলির মতো।

        * *   **     **    **   **    * * *       **   *          **   *   ** *     

পড়াশুনা করলাম, মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করতে চেষ্টা করলাম সব সময় মেয়ে-ফেয়ের পিছনে সময় নষ্ট না করে প্রতিষ্ঠিত হবার চেষ্টা করলাম পড়াশুনা করার পর লোকে বলতে লাগল বেসরকারি চাকরিবাকরি করলে আজকাল আর ভালো মেয়ে পাওয়া যাবে না ভালো মানে সো কলড সুন্দরী আর-কি মনের দিক থেকে কেমন হবে সে সব দেখে সুন্দরী বিচার হয় না কোনওদিনই এখন সবাই নাকি নিজের মেয়ের জন্য সরকারি চাকরির কাকু, জেঠু খোঁজে মানে মেয়ে একটু ফরসা হলে, মাই-ফাইয়ের সাইজ সঠিক হলে এখন রিকশাওয়ালার ফরসা মেয়েরও সরকারি চাকরি লাগে এখন বয়স-টয়স ডাজ নট ম্যাটার বাঁড়ার সাইজের মতো। টাক মাথা হলেও ঐশ্বর্য রাই চলে আসবে যদি একটা সেন্ট্রালের চাকরি বাগাতে পারো কষ্ট করে সত্যি কথা বলতে কথাগুলো কিছু ভুল নয় একটু এদিক-ওদিক তাকালেই বোঝা যায়
পাশের পাড়ার মনাদার আটত্রিশ-চল্লিশের কাছে বয়স হয়ে গেছিল, শেষে বুড়ো বয়সে টাকা-ফাকা খাইয়ে ডবলুবিসিএস মারল তারপর কচি দেখে একটা মেয়ে বিয়ে করল, বউভাতে খেতে গিয়ে দেখি আরে শালা এ তো আমাদের স্কুলের সেই হিরোইন, বহুত ছেলে এ মালটার পিছনে লেবার দিত, মালটা শেষে কিনা এই বুড়োকে বিয়ে করল! মনাদার এহেন সাফল্যে ইন্সপায়ার হয়ে আমিও সরকারি চাকরির জন্য লেগে পড়লাম

৩.

সরকারি চাকরির পড়া পড়তে গিয়ে বুঝলাম সব শিক্ষকরা মোটামুটি ব্যাবসা খুলে বসে আছে, প্যাকেজ সিস্টেমে পড়ানো হয় বেসরকারি হাসপাতালের রুগির মতো অবস্থা সবার খালি পেশেন্ট পার্টির থেকে টাকা খিঁচে নেবার ধান্দা। প্রচুর ছেলেমেয়ে পড়ছে শালা জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ পুরোটাই জানতে হয় কমবেশি ইতিমধ্যে বাংলার রাজনীতিতে বড়সড় রদবদল হল লাল পার্টির মালগুলো মহা ঢ্যামনা হয়ে উঠেছিল, চৌত্রিশ বছর চেয়ারে থেকে সাপের পাঁচ পা দেখেছিল, শেষে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম করে মালগুলো ফুটে গেল আর মালগুলো রেখে গেল ভাঙাচোরা একটা বাংলা বামগুলোকে আমি শেষদিকে ভাম বলে ডাকতাম, তো এই ভামগুলো সবদিক থেকে গাঁড় মেরে দেওয়া একটা বাংলাদেশ রেখে গেল কি শিক্ষা, কি স্বাস্থ্য, কি কৃষিকাজ সবদিক থেকেই গাঁড় মেরে ফুটো করে দেওয়া
দিদি বসল চেয়ারে, প্রথম ক’দিন হেবি কাজ দেখাল দিদির সেই চটি পরে এবিপি আনন্দের স্টুডিওতে মুড়ি খাওয়ার ইমেজ জাস্ট ভোলা যায় না দিদিকে ওই পাশের বাড়ির কাকিমার মতো স্টিলের থালায় মুড়ি খেতে দেখে মনে হয়েছিল এবার বাংলায় চাকরিবাকরির বন্যা হয়ে যাবে দারুণ মন দিয়ে পড়তে আরম্ভ করলাম একটা ঠিকঠাক সরকারি চাকরি তো শালা বাগাবই
দিদি প্রথম প্রথম হেবি খেল দেখাল, হঠাৎ হঠাৎ বাজারে ঢুকে পড়ত বাজার কেমন চলছে তা দেখতে, একদিন হঠাৎ হাসপাতালে ঢুকে পড়ল হাসপাতালে ঠিকঠাক চিকিৎসা হচ্ছে কিনা তা দেখতে, আর এর সাথে চলতে লাগল একের পর এক শিলান্যাস কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যেই বোঝা গেল এসব আসলে সব স্টান্টবাজি আসলে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না প্রাইমারির পরীক্ষা দিয়ে এসেছিলাম ভেবেছিলাম পেয়ে যাব, যদি না-ও পাই নেক্সট ইয়ার চেষ্টা করব কিন্তু চাকরি তো পেলামই না উলটে যারা চাকরি পেল তাদের দেখে মাথা গরম হয়ে গেল বেশ বুঝতে পারলাম এই সরকারের স্বচ্ছ নিয়োগ করার বিচির কোনও জোর নেই, এই হারামিরা চাকরিবাকরি প্রতিটি ক্ষেত্রে চুরিচামারি করবে শালা যারা কলেজে পড়াশুনা না করে ঝান্ডা নিয়ে ঘুরছিল তারাই সুট-বুট পরে এই ক’দিনে প্রাইমারির মাস্টার, গ্রুপ ডি ইত্যাদি সরকারি চাকরিহোল্ডার হয়ে গেল
আমার পাড়ার পঞ্চায়েত বলল প্রাইমারির চাকরি যদি চাই তাহলে হয়ে যাবে একটু খরচাপাতি করতে হবে, মোটামুটি লাখ সাতেক দিলে নেক্সট বার চাকরি পাক্কা পরীক্ষা হলে সাদা খাতা জমা দিতে হবে বাকি কাজ পার্টি থেকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে

৪.

অ্যাডভ্যান্স মোটামুটি চার লাখের মতো দিয়েছিলাম, পরে আরও তিন। সব ব্যবস্থা পাড়ার পঞ্চায়েত মলয়দাই করে দিয়েছিল বাবা কিছুটা পৈতৃক জমি বিক্রি করে টাকার ব্যবস্থা করে আর আমি প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার হয়ে যাই প্রতিদিন স্কুটারে করে ইস্কুল যাই এখন স্কুলে জয়েন করার ছ’মাসের মধ্যেই মোটামুটি মেয়ের বাবারা আমার বাবার সঙ্গে আমার বিয়ের জন্য কথাবার্তা বলতে আরম্ভ করে, মোটামুটি খান কুড়ি মেয়ে দেখে আমার বউ শিলাকে পছন্দ করি প্রথমবার দেখতে গিয়ে কাপড়ের ওপর থেকে সমস্ত দেহের পার্টসে চোখ বুলিয়ে নিই, ড্রিমগার্ল যেমন ভেবেছিলাম তেমন কিনা সব মেলাতে আরম্ভ করি এখন একটু মেন্টালি বড় হয়ে গিয়েছিলাম তাই ড্রিমগার্লের মতো মেয়ে যে বাস্তবে হয় না বুঝে গিয়েছিলাম যাইহোক শিলাকে ফাইনাল করে বিয়ে করে ফেললাম বিয়েতে বন্ধুরা প্রচুর কনডম দিল কিন্তু প্রথম রাতে লাগাতে গিয়ে ওই বিপত্তি বাঁড়াটাই বউয়ের পছন্দ হল না সে বাঁড়া চুষল না, বলল আমার বাঁড়া ছোট আর সরু এরপর থেকে রাতদিন খালি বাঁড়ার কথাই ভাবতাম, আর নিজেকে কেমন ছোট মনে হত বাঁড়া বড় আর লম্বা করার জন্য এটা-সেটা করতে আরম্ভ করলাম জাপানি তেল মাখলাম, জড়িবুটি দেওয়া বিস্কুট খেলাম, আরও কত কী করলাম, কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না বাঁড়া যেমনকে তেমন রয়ে গেল মাঝেমাঝে শিলাকে লাগাতাম কিন্তু সে স্যাটিসফাই হত না, ব্লেজারসের জনি সিন্স দেখা মেয়েকে সন্তুষ্ট করা সত্যি সোজা না, তাও আবার এই কঞ্চির মতো বাঁড়া নিয়ে ভগবানকে খিস্তি করতে মন চাইত, ভগবানে বিশ্বাস প্রায় উঠে যাচ্ছিল এমন সময় সেই ঘটনা ঘটল!

৫.

সাধুর কাছে নিয়ে গিয়েছিল আমার এক কলিগ নিয়ে গিয়েছিল বললে ভুল বলা হয় আসলে গিয়েছিলাম একাই সে কেবল খোঁজ দিয়েছিল সাধুজি হিমালয়ফেরত মানুষ, একজায়গায় বেশিদিন থাকেন না বর্তমানে অবস্থান করছেন আমার স্কুল থেকে কুড়ি কিলোমিটার ভেতরে চন্দ্রহাস নামক একটি গ্রামের বাঁশবাগানের ভেতরে স্কুটারে তেল ভরে, ফোনের গুগুল ম্যাপ সঙ্গে নিয়ে তার কাছে চললাম ছুটির দিন দেখে, বাড়ি থেকে ন’টায় বেরিয়ে চন্দ্রহাস গ্রামে গিয়ে যখন পৌছালাম তখন দুপুর নেমে এসেছে কলাপাতায় লালচে আলো গ্রামের একজনকে জিজ্ঞেস করতে বলল গ্রামের শেষদিকে যে বাঁশবাগান আছে ওখানে বাবা বর্তমানে অবস্থান করছেন, বাবা বিশেষ কথাবার্তা কারও সঙ্গে বলেন-টলেন না, খাবারদাবার টাকাপয়সা দিলে গ্রহণ করেন কিন্তু ভেলকি কিছু আজ অব্দি দেখাননি তাই গ্রামবাসীরা প্রথম প্রথম এই সাধুকে নিয়ে উৎসাহ দেখালেও ইদানীং সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে। এসব শুনে ভাবলাম আমার আর কী? কিছু কাজ হলে হবে না হলে ফিরে যাব এই জীবনে তো হারানোর আর কিছু নেই, বরং যদি পাওয়া যায় কিছু
এই ভেবে বাঁশবাগানে প্রবেশ করলাম, দুপুরবেলা কেমন ছায়া ছায়া এখানে, চারিদিকে শুকনো বাঁশপাতা মাঝেমাঝে বাঁশের গুচ্ছ সেইরকম একটা গুচ্ছের ভেতর নুয়ে পড়া একটা বাঁশের তলায় বসে বাবা বাঁশপাতা জ্বালিয়ে একটা সরাতে ভাত রান্না করছে চেহারায় তেমন কিছু নেই, রোগা ডিগডিগে খালি গা পরনে একটা রক্তবর্ণ ধুতি মাথায় একটা উপচে পড়া জটা আর বেশ উজ্বল দুটো চোখ, যা দেখে একটা কীরকম শ্রদ্ধা জাগে
ডেসপারেট হয়ে গিয়েছিলাম আগে থেকেই, বউকে খুশি না করতে পেরে কুত্তাপাগল অবস্থা তাই সটান গিয়ে বাবার পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম, চারিদিকের বাঁশপাতার ধোঁয়ায় এমনিই চোখ থেকে জল বেরিয়ে এল কাঁদতে কাঁদতে বললাম, বাবা, এ জীবন আর রাখতে ইচ্ছে করে না, বউকে যৌনসুখ দিতে পারি না লিঙ্গ ছোট বলে, বউ সারারাত উঠতে বসতে কথা শোনায়
সাধুবাবা প্রথমের এই আকস্মিক নাটকে হতচকিত হয়ে গিয়েছিল, তারপর ধীরে ধীরে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, তোর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো?’
আমি গদগদ হয়ে বললাম,হ্যাঁ বাবা আপনি ঠিক বলছেন, আমার নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘সরকারকে উৎকোচ দিয়ে এখন প্রাইমারিতে চাকরি করিস তো?
আমি একটু লজ্জা পেয়ে বললাম, ‘হ্যাঁ বাবা, এখন পড়াশুনা করে কেউ চাকরিবাকরি পায় না, তাই বাধ্য হয়ে কিছু টাকা পয়সা ওইপাঁকে লাল ঘাসফুলপার্টিকে দিতে হল আরকি!
‘এখন তোর সমস্যা হচ্ছে তোর লিঙ্গ ছোট তাই বউ কথা শোনায় তাই তো? তুই আসবি আমি জানতাম
আমি হাঁটু মুড়ে বসে গদগদ হয়ে বললাম, ‘বাবা বউয়ের কাছে কথা শোনায় খুব কষ্ট কিছু একটা ব্যবস্থা করুন যাতে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাই!
সাধু বাবা বলল, ‘যা তোকে আশীর্বাদ করছি তোর সমস্ত কষ্ট দূর হবে এখন বাড়ি যা, একটু পরেই সন্ধে নামবে
আমি বাড়ি চলে এলাম, আসতে আসতে ভাবছিলাম সাধুবাবা কিছুই দিল না, না মন্ত্র, না খাবার কিছু শেকড়-বাকড়, না মালিশ-টালিশ করার কিছু, শুধু আশীর্বাদে কাজ হবে তো?

৬.

হ্যাঁ কাজ হল ওই আশীর্বাদে, মানে জবরদস্ত কাজ হল মাইরি যাকে বলে ভগবানে বিশ্বাস ফিরে এল, ভগবানের কাজ কী? মানুষের সুখ-দুঃখের খেয়াল রাখা ছাড়া! বাঁড়া দু’দিনের মধ্যেই হেবি মোটা আর লম্বা হয়ে গেল পুরনো কঞ্চির মতো বাঁড়া আমূল বদলে গেল, কাটা কলাগাছের মতো বাঁড়া দেখে সাধুবাবাকে দূর থেকে প্রণাম জানালাম, ভগবানকে প্রণাম জানালাম
মন হেবি খুশি হয়েছিল কিন্তু একটু বিপত্তি দেখা দিল, ইতিমধ্যে আমার সারা গায়ে আর পাছায় ছোট-ছোট আরও অনেকগুলো বাঁড়া গজাতে আরম্ভ করেছে শেষে এমন অবস্থা দাঁড়াল নরমাল টাইমে বাড়ির মধ্যে খালি গা হওয়া যায় না আমি ভয় পাচ্ছিলাম বউ শিলা এই পুরো ব্যাপারটা কিভাবে নেবে?
সেইদিন রাতে বউকে নিজের বদলে যাওয়া রূপ দেখালাম, ভেবেছিলাম এরকম কিম্ভুতমার্কা রূপ দেখে হয়তো ভয় পেয়ে যাবে কিন্তু না ভয় তো পেলই না উলটে বিশাল খুশি হয়ে গেল, মানে সত্যি বলতে কি এরকম খুশি হতে আজ পর্যন্ত আমি কাউকে দেখিনি এমন বাঁড়াপাগল মেয়ে সত্যিকারের পর্নস্টারও না!
এই খুশিতে হনিমুন যাব ঠিক করলাম, সত্যিই বিয়ের আটমাস হতে চলল এখনও হনিমুন যাওয়া হয়নি, ঠিক করলাম উত্তরবঙ্গের অহলদাঁড়া-শিবখোলা যাব জায়গাটা দার্জিলিং থেকে পঁয়তাল্লিশ কিমি দূরে।

৭.

অহলদাঁড়াতে একটা রিসর্ট নিয়েছি চারিদিকে পাহাড়, মাঝে ছোট-ছোট তিনটে লালরঙের টালির চালের বাড়ি, ওই বাড়ির একটা আমাদের আজ রাতে। ঠান্ডা রাত্তির দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘার হালকা আভাস, আকাশে চাঁদ দেখা যাচ্ছে, রাত আটটা বাজতেই আমি আর শিলা হালকা খেয়েদেয়ে শুরু হয়ে গেলাম, লম্বা মোটা বাঁড়া চুষতে আরম্ভ করে দিয়েছে শিলা, আহ কী শান্তি শিলা সব বাঁড়াগুলো একে একে চুষতে আরম্ভ করেছে, মনপ্রাণ সব খুলে যাচ্ছে কী শান্তি! কী শান্তি! জীবন কত মধুর এই জীবন ওহ! চোখে জল এসে যাচ্ছে শিলার চোষণে! মনে হচ্ছে সারা গায়ে ল্যান্ডমাইন পাতা ছিল আর শিলা সব ল্যান্ডমাইনগুলো একে একে ফাটিয়ে দিচ্ছে চিত হয়ে শুয়েছিলাম চোখ আরামে বুজে আসছে এমন সময় হঠাৎ দেখি টালির চালের টালি হঠাৎ খুলে গেল ওই খোলা চাল থেকে চাঁদের আলো বেরিয়ে ডাইরেক্ট আমার মুখে পড়ল এরপর দেখলাম সেই খোলা টালির চাল থেকে দুটো পা নীচের দিকে নামছে, হেবি জোর ভয় পেয়ে গেলাম, মুখ থেকে কোনও কথা বেরচ্ছে না ক্রমশ পা তারপর বডি ক্রমে দৃশ্যমান হল, পুরোপুরি বডি দৃশ্যমান হবার পর দেখি, আরে এ তো আমার সেই বাঁশবাগানের সাধুবাবা, কাঁধে একটা বস্তা নিয়ে হাওয়ায় ভাসছেন আর মুচকি হাসছেন!
সাধুবাবাকে প্রণাম করলাম আমার দেখাদেখি শিলাও বাবাকে প্রণাম করল বাবাকে বললাম, ‘বাবা আপনার আশীর্বাদেই আজ আমি যথেষ্ট সুখী, আপনিই আমাকে লাগানোর এহেন সুযোগ করে দিয়েছেন, তাহলে আজ এই অসময় আপনি কেন আমাদের এই সুখের রাতে বাধার সৃষ্টি করছেন?
সাধু বাবা মৃদু হেসে বললেন, ‘বৎস, আমার আশীর্বাদে তোমার সারা গায়ে যে অনেক বাঁড়ার সৃষ্টি হয়েছে তার বীচিগুলো লাগাতে আসলে আমি ভুলে গেছি। তাই এই বস্তায় তোমার বাঁড়ার বীচিগুলো নিয়ে এসেছি লাগাব বলে!

7 comments:

  1. তোমার লেখাটা পড়ে চমকে গেছি। প্রথম কারণ,যে চমক আসলে ইচ্ছাকৃত, সেটি--- অমার্জিত শব্দ এবং অদ্ভুত বিষয়বস্তু। তবে,লেখার টানে এগিয়ে চলেছিলাম।ঝরঝরে গদ্য। অদ্ভুত ভাবে তুলে ধরেছে সমাজ,রাজনীতি এবং যৌনতার সম্পর্কীত ধ্যানধারণাগুলি একটি দিক। দ্বিতীয় কারণ, তোমার মানবিক অনুভূতি এবং মার্জিত রুচি যা স্যাটায়ারের সীমা জানে।কোথাও কাউকে আঘাত না করে তুমি সকলকে নিয়ে হাসলে,অথচ বুঝিয়ে দিলে যৌনাঙ্গ সর্বস্বতা আসলে অহঙ্কার না,বৈশিষ্ট্য বড়োজোর। তাই তা নিয়ে বিপন্নতা নানা ধরণের আসলেও,তাকে অতিক্রম করাটাই সংস্কৃতি।অদ্ভুত ভাবে মনে পড়ে গেলো শূন্য এ বুকে ছবিটির কথা।পেলাম এক বন্ধুর কাছ থেকে সনাতন দিন্দার একটি ছবি।তোমাকে সম্মান না করে পারছি না, এতো অদ্ভুতভাবে তুমি শেষ করলে বলে---- বীজ জিনিসটা খুব জরুরী, ওতে ভাবীকাল থাকে।স্যালুট।

    ReplyDelete
  2. পুরুষাঙ্গ সর্বস্বতা--- রেপিস্ট তৈরি করে। এটা কোনো গুণ তো না-- বৈশিষ্ট্য বটে।একটি শিশু, যে আসলে বীজ, ভীত না,এই পৃথিবীতে আসতে? এই সমসাময়িক অস্থিরতা এবং চিরন্তন হাসি-মজা-পরিহাস-ধর্ষকামিতা-হীনমন্যতা-শরীরসর্বস্বতা,প্রেমহীনতা এবং পুরুষবাদ---সবকিছুকে তুমি কতো অনায়াসে, কোনও জটিল ইশারায় না গিয়ে বুঝিয়ে দিলে---আশা করি তোমার এই অমার্জিত শব্দচয়নে মার্জিত প্রতিবাদ পাঠকের মস্তিষ্ক এবং মননকে আকর্ষণ করবে

    ReplyDelete
  3. এমন বালের কীর্তন জোকস বহুবার শুনেছিলাম বন্ধুদের কাছেই, তার সাথে রাজনৈতিক ফ্যাদা মিশিয়ে ভালোই পকোড়া করে দিলেন মাইরি জাপানী তেলে ভেজে।

    এমন ল্যাওড়ার গল্পের থেকে পানু দেখা অনেক ভালো

    ReplyDelete
  4. গল্পটি ভালো। গল্প যেভাবে বলে, সেসব ভঙ্গি অনুকরণ না করে সহজভাবে বলা। বিষয়টা বেশ। এর ট্রিটমেন্টে খুব মগজকুস্তি নেই বলেই এড়া সহজভাবে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

    ReplyDelete
  5. গল্পটা অদ্ভুত হলেও, শেষ না করে কিছু ভাবার অবকাশই নেই। শেষের ভালো চমকটা দারুণ

    ReplyDelete
  6. অদ্ভুত টান গদ্যের। ঝকঝকে লেখা। এক নাগাড়ে পড়ে ফেলা যায়। সমস্ত বিষয়কে দারুণ ভাবে তুলে ধরেছো। সুররিয়েলিস্টিক গল্প এটি। কিন্তু ভীষণ ভাবেই মৌলিক। শেষটা খুব ভালো করেছো।

    ReplyDelete