বাক্‌ ১৪২ ।। অনিন্দ্য রায়




কান

মুখোমুখি বাদী সম্পর্কের ভাষা, ভাবি, বাতাসের মন
কাঁপানোর খেলা প্রিয় হল, ফুঁয়ে উঠি,, তোমার যে ফল
জন্মে আমি তার বহুধর্মী বীজ, কুয়াশার জীব হলে
ভালোই হত কি? অসহায়, তুমি উভচর হতে গিয়ে  
জলে চলে গেছ, অথচ বুকের ক্ষোভ মাটিতে ঘষটে
যায়, সাগরের ডিম রেখেছ দেরাজে, বলে দেব?
সে তবে অপত্যশোকে তোমার জামায় এসে ভেঙে যাবে
বিপর্যয় বুঝে সেরে রাখি প্রকৃতির নেশা, আমার তো
তন্তুই সম্বল, বাজাই

সম্ভাষণ সিঁড়িতে উলটিয়ে, দেখি, প্রস্তাবে তুমিও গোলকমাত্র

বুঝি, এবার বাজাতে হবে তোমার রক্ষিত পর্দা, তাই
ছিপি খুলে দ্রাব্য বছর দুয়েক ফেলে দি, ফেরির কায়দা
প্রতিশ্রুত শ্রাবনের তলে আশাহীন, আমি যে কী
করি! টানি বাতাসের মন আর ছেড়ে দি, নড়ে ওঠে
উত্তরের মাত্রা, তুমি কি কর্তব্যে থাকো? প্রিয় হল খেলা
লতিবিষয়ক গুজবের রাস্তা পার হই, রণনের দাবিতে
জমাই, অপবাদ পরস্পরে প্রতিপতি ফলাতে পারে না
তোমার যে ফল গড়িয়ে দিয়েছ, এইবার শিক্ষকের মতো কেশে
লিখে ফেলি ইঁদুরের দৌড় কতদূর আর কোনখানে বিষ 
দেখেছ, অন্যায়?

এইবারে কবিতায় আসি, বলি, অদৃশ্যের কোপ এইখানে
লেখো, লালকালি খুঁজি, মফস্‌সলে অত সবুজ হয় না
আর, একটিমাত্র চিঠি, তাও জমে খয়েরি হয়েছে

একদিন পর্দা কাঁপিয়েই
ফেলি, বাজে আনুমানিক
প্রভাব, গালা লেগে
থাকে ধ্বনিময়, অর্থের ভাণ্ডার
এতখানি, বাকি দর্শনের

সংস্কারে আঙুল জল থেকে ডাঙার লক্ষ্যে ভেসে থাকে

বাজো, তাই ঢুকতে পেরেছি, পাঁচকান গুরুত্বের নয়
অপরিণতের হাসি, প্রেরণার ভাষায় বললে, আমি বোকা
তাই ঢুকতে বাজনা ব্যবহার কর, নইলে কী যে
কত, মাত্রা, ভুল, কোণে খুলে রাখা, সম্ভবত কানা
লালকালিময়, সেই রৌদ্রের ছাপে কি থাকা ভালো?
মনোযোগ এভাবে নিস্তার পায়, নীল নীল সব
ফুটে ওঠে, কাদা হলে হয়
খেলতে নেমেছি

সম্বৃদ্ধির জেরা হলে হয়, জানলা-দরজা বদলাতে থাকে
পর্দা যথাসম্ভব মাটির, নেমে যায়, নিরপেক্ষ তার
প্রিয় হয়, অর্থের পালন মেনে নিতে পারি না কার্যত
ছিটকে পড়ি, নীল রেখাদের হাত থেকে উঠে আসে  
প্রত্নপতাকারা, বই খোলা থাকে, পাতা ওড়ে, খোলাপাতা
ঝরাপাতা উড়ে যায়, তোমাদের দলে, বেছে নিতে পারি না
প্রকৃতি, ঝড় জন্মায় হঠাৎ, দায়িত্ব নেয় না, ভেতরে ক্লান্তিময়
চালু ছোট চাকার জীবন, কবিতা লেখার পাশে চলে যেতে চায়
ধরো, জল ঢালো, বাতাসের দূর, ঈর্ষা না থাকলে বেশ জমে
না বলেই এল সেও, বোঝাতে পারি না
শ্রাবণবিড়ম্বনা পরিচিত আমাদের


বুকের বালিশ এত ছোট, ঠিক মতো ধরে না
প্রসাদ, কীভাবে ওঠাই হাত, ফুলে থাকা মণ্ডলের ছায়া
আমাদের পিঠে, তোমায় রয়েছে আস্থা আন্দাজের তলে
মুখে আর কানে, সুতো টানি, আর কেউ
সেহেতু কাঁপে না

এত ধুলো এনে ফেলেছি, ভাঙে মাথায়, বছর দুয়েক
খুলে মেলে দিয়েছ, হাত দিতে পারি, যদি নষ্ট হয়
খেলা সেই ভয়, প্রতারণা মনে হলে আলগা কোরো না
জল পড়ে, তোমার সম্মান এতে কমে কি বুঝি না
উঁকি ছিল সাদা, পারোনি সামলাতে, বর্জনের হাতপা
চেনো কি

আমায় চিনিও

স্পৃহা যেন নেই, শব্দই ছিল না এরম
অবরোহে ডাক থেকে যত খানি পেলাম তাই সমর্থন
বাঁকতে বাঁকতে অশান্তির শিস শোনা গেল
তবু উঠে তো আসতে হবে, আসতেই হবে
সবাই চিন্তা করবে, কানে ঢুকে যাচ্ছে দুবিধার ছুঁচ
ভেতরের কথা আর স্থির থাকল না
তোমার হাতেও দেখি বাজনার কাঠি, আমি কান
পেতে রই, যদি মুখোমুখি, যদি
 

7 comments:

  1. এ যেন শ্রবণের জলস্বর। বাঁধনে পরিমিত। ভালো লাগল খুব

    ReplyDelete
  2. নিশীথ ষড়ংগী,,,,,

    ReplyDelete
  3. খুব ভালো লেখা

    ReplyDelete
  4. খুব ভালো লেখা

    ReplyDelete