বাক্‌ ১৪২ ।। অভিষেক নন্দী





সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে

মা-মরা সূর্যের অশৌচ। আলো দেবে না
এভাবেই চলতে হবে কয়েকটা প্রজন্ম—
অন্ধত্ব বিক্রেতাদের হাতঘড়ি
থেঁতলে দিয়ে গেল ধানের শিষের চুম্বকগুলিকে...

সকল চামড়া থেকে খুলে পড়ছে ব্রহ্মবস্ত্র

উচ্চারণতন্ত্র বন্ধ হয়ে আসছে প্রেমের পদ্যের ভেতর

দূরে গভীর জঙ্গলে স্রোতহীন কফিনেরা
হাসতে-হাসতে ঝালিয়ে নিচ্ছে:
অ-এ অজগর আসছে তেড়ে...
আ-তে আমটি আমি খাবো পেড়ে...






ভুল মিথ্যা

এই টেনিস কোর্টের ভেতর বেজে ওঠে
জবাফুল গাছের মাথা ঝাঁকানি
ঠান্ডা ফ্যানের রেখা ফণা ছিঁড়ে রাখে
জ্যামিতি বক্সের কলকব্জার সামনে...

পরশু সারারাত এইসব ভেবে আর লিখে গেছি
টেনিস বল এসে ছুঁয়ে গেল
কতবার আমাদের শূন্যে ছুটে যাওয়া স্বপ্নকে

কিছুই নেই এইসব উপন্যাসে

সমস্ত ঘামের নুন গোগ্রাসে গিলছে যাকে, সেই
নীল মৈথুন খতম হলে, জলে নেমে আসে বালিহাঁস
অবশেষে চুক্তি হয়—একটা বিশ্বাসঘাতক ঝড় এসে
টেনিস কোর্টের ভেতর
ফুলের গাছটিকে নুইয়ে রেখে যাবে...




বাটখারা

মুঠো হয়ে উঠেছে চৌকো। হবার কথা ছিল
প্রায় কমলালেবুর ন্যায় চ্যাপ্টা ও স্ফীত

আরো একটু দূরে শব্দ করে করে
ভেসে যাওয়া দাঁড়িপাল্লা, আমাদের
শিখিয়েছেন—কাকে বলে ক্ষুধা?

জল ও চালের যৌনমিলনে
আমরা সুখের নিমক দর্শক...

জলের এলোপাথাড়ি চুমু নিয়ে যে মিলন
বেরিয়ে রয়েছে বর্তমানের চেয়ে
সে আমাদের পুরনো জংধরা পাল্লার
সর্বোচ্চ-ওজনের বাটখারা।


1 comment:

  1. সবগুলোই বেশ ভালো লেখা

    ReplyDelete