বাক্‌ ১৪২ ।। দী প্তে ন্দু জা না


হাত ধরো পাথরপথিক

সূর্যের জোছনা

সারাদিন শুধু সূর্যের জোছনা
সারারাত শুধু চাঁদের রোদ্দুর

চোখ আর চোখ
দেখতেই থাকি 
স্বরবর্ণের এলোমেলো ধুলো
আর
একটা সিংহ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে  আকাশের নাড়িভুঁড়ি




জন্ম

ঝুলে আছে বাতাবি গাছের উসখুস ডিম 
ডিম ফুটলেই বাতাবি গাছের বাচ্চা হবে

উতলা খেলনা সাজিয়ে 
উবু ফুটপাত

কি করে জন্মাবো - আমি যে এখনো প্রেগনেন্ট নই


মদ

কেউ আমার এক পেগ রবীন্দ্রনাথ 
কেউ আমার এক পেগ জীবনানন্দ

আমি যে ঈশ্বরের ফাইফরমাশ 
আমার অশ্রু 
তার সান্ধ্যকালীন মদ




সাধনা

কোন সাধনা নেই ব্যক্তিগত 
শুধু ছ্যাঁকা লাগলে বুঝি -মাংসের ভেতর উৎস জেগে  আছে 

সাধনা  তো একটি বৃক্ষ ওকে ধৈর্য শিখিও না

সাধনা তো একটি পাথর ওকে ধ্যান শিখিও না

সাধনা তো একটি মোমবাতি ওকে  আগুন শিখিও না


একটি হরিণ যদি সাধনা হয় -তবে আমি সাধনার ভেতর  ধনুকের স্বভাব হয়ে আছি


কবি

ঙ-চ ধুলো হয়ে আছে
ত-থ ধুলো হয়ে আছে

ধুলোগুলো নীরব

যে দেখতে পায় ধুলোর জিভ 
তাকেই লোকে কবি বলে ডাকে




ইশারাপাঠক

পাঁচিলে পা ঝুলিয়ে বসে আছে আয়ু 

নীরবতা আমাদের প্রথম সংকলন 
আমরা সবাই ইশারাপাঠক 

ফুসফুসের ভেতর কে যেন প্রাণায়াম করে 

তুমি বরং পড়ো ছায়া 
পাঠকের জন্ম হলে কবি লম্বা হয় 




জরায়ু

গাছতলায় পাথর পড়ে আছে

পাথরের ভেতর পাথর চলমান
বৃক্ষের ভেতর বৃক্ষ চলমান 

পাথরপথিক হাত ধরো
হাত ধরো বৃক্ষপথিক

প্রসববেদনার ভেতর
আমি  নারী একটি জরায়ু


2 comments:

  1. বাহ্। সুন্দর। নিবিড়। প্রথম কবিতার প্রথম দু'লাইনে যে অদল বদল একটি সম্ভাবনা বা সংঘর্ষ তাকে শেষ লাইনে বেশ সামলে নেওয়া গেছে। সাবলীল। বেশ ভালো লাগল লেখাগুলি

    ReplyDelete