বাক্‌ ১৪২ ।। অনির্বাণ সূর্যকান্ত



মালাউন - The Bill Of Exchange


১)
ফাঁস লেগে মৃত্যুর দৃশ্যটা দেখার মতোন, কৈ মাছের মতো কানকো উপরে যায়, আউশ ধান শরীরে ঢুকে যায় রোদের বীজ, ভেতরে কিছু একটা লাফায়
কী সেটা? অবরোধ? 
মনে হয় বহুদিনের ভেতরে জমানো ধুলোকে কেউ ঝাড়ামোছা করছে।
কেউ কেউ বলে পাখি, বিপন্ন প্রজাপতির।পাখিরা বিপন্ন হলেই আত্মহত্যা করে রক্তজবার মতো।
১৩.১১.১৪২৬


২) 
পুকুরে বাস করা কলমিলতাটা কতো রঙ ঢঙে যে বড় হয়ে উঠে
তার শোক বুঝি না,  এটা কি কম দুঃখ?
শোক না বোঝার অক্ষমতা পূর্ব পুরুষের অভিশাপ যখন
  মানুষের কণ্ঠে চাষ করা যায় ,এই যেমন পিপড়ার বাসা। 
বাচ্চারা বিরোধিতা করে ওষুধ ঘুম, বিশ্বাসের ক্লাসে শিক্ষক শেখায় মিছিলের ওম। 
মানুষ ইদানিং পড়ে কাজ নেই, গিয়ারে হাত লাগিয়ে জেনে যাই কলমিলতা ভালোবাসার বেশি ভার নিয়ে জন্মায়
২৩.১১.১৪২৬


৩)
তোমার খোঁপাতে রোজ রোজ শহরের সিটি বাসগুলো থামে। বাস থামলে কেউ নামে, কেউ উঠে। খোঁপাতে কেউ রক্তজবার মাংস খোঁজে না। খোঁপাতে রাত বলে কোনো রস নেই। এই যে খোঁপার নিজস্ব রুট, পাহাড়ের দিকে নব দম্পতির ঘুম- সেটা একটি নাইটফাঁদ সমাজের ইশারা।
শীতের দিকে চামড়া উঠে যায় মননের। তখনই আমরা বুঝি বসন্ত আসবে। "বসন্ত আত্মহত্যার উপযুক্ত সময়" কথাটা কবি অনির্বাণ বলেছিলো এক মাছরাঙাকে।

চামড়ার সাথে বসন্তের ডানাওয়ালা বৃষ্টির যে তীব্র সখ্যতা তা নিয়েই আদি মানবি স্নান করতো।
পৃথিবীর সকল পক্ষাগাতগ্রস্থ গোলাপ তোমার প্রেমিক হয়ে উঠুক, পৃথিবীর সকল কারাগারের গোলাপ পাঠশালায় শিখুক যোগের নামতা। পাঠশালা কতটা সুগন্ধী- মায়ের স্নান দেখা প্রেমিক শুধু জানতো।
০১.১১.১৪২৬


৪)
আমার বাড়ি যাওয়ার পথে কত কত কৃষ্ণনগর যে পড়ে, কারো কাঁধে লাঙ্গল, কারো ওড়নাতে রোম, কারো মুখে বাংলা  শিক্ষিকার কপালের লাল টিপ।
হাত ধোঁয়ার জন্য সেনিটাইজার কিনবে, তবুও ডাক শুনবে না আমার নারী জ্বর।
আমি ডাকছি স্যার, ও স্যার, শুনুন। ঘরের কাজের মেয়েটির বুকে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর বাড়ি, সেখানে ক্যাস্ত্রো নেই, বুদ্ধের রোমান্স ডুবে যাচ্ছে মদে। 
আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নে রোম দেখেন না, রাস্তাটা গিয়ে আমার বাবার কাঁধে উঠেছে সেটা দেখেন না, উনি যা দেখেননা তা হলো দেশে সিফিলিসে ভরে গেছে।
২৬.১১.১৪২৬


৫) 
মায়ের চোখ থেকে আজান ভেঙে পড়ছে, মায়ের স্তনে লাল ফুল। লাল ফুলে বিপ্লব ঘাপটি মেরে বসে আছে। বাবার চোখে তরুণী পাখিদের খাওয়ার পানি। 
ভোর বেলায় মা স্নান সেরে দুধ কাটে।
বাজারে শরম নেই বলে, মায়ের টিপ পরা হয় না কুড়ানো কাঠে। চুলাতে দাও দাও করে আগুন জ্বলে না, যদি জ্বলতো মুক্তি তাহলে মায়ের খোঁপার কাটা হয়ে যেতো ফানুস উৎসবের আলপনা।
২৬.১১.১৪২৬



No comments:

Post a Comment