বাক্‌ ১৪২ ।। মায়িসা তাসনিম ইসলাম




রূপান্তর 

আমার বড়ো ঘৃণা হচ্ছে!
এ শরীর দেখে ফেলা একজন
তুমুল অপবাদ দেওয়ার পর আর প্রেমিক থাকেনি।
বড়ো ঘৃণা হচ্ছে!

বুকের বামপাশটাকে ঘৃণা হচ্ছে
নাভী থেকে চিৎকার করছে ঘৃণা!
ঘৃণায় থরোথরো কাঁপছে তার ঔরস ধারণ করতে চাওয়া গর্ভের সাহসী সৌধ
ঘৃণায় ঘৃণায় শরীর থেকে শরীর ছিটকে যাচ্ছে ধুমকেতু।

শয়তান কে দেখাতে চাচ্ছি, নারীর শরীর কিভাবে কথা বলে প্রেম সরে গেলে
নরকের গভীরে আছে শূন্যস্থান, তার দিকে ছুটে দেহের সত্য, দেহের মিথ্যা
শয়তানের সাথে মেলাবে বাহু, নতুন গন্ধম।


এ জার্নি বাই হিলারিয়াস ট্রেন 

আমার অন্তর থেকে ট্রেন এসেছে আপনাদের স্টেশনে। এই ট্রেনে খালিপায়ে ওঠার নিয়ম। ট্রেন থামতেই আপনাদের মগজহীন মাথার স্যুটকেস নিয়ে ঘুরতে আপত্তি জানাবে হাসিমুখ কুলি সম্প্রদায়। বেশ্যার প্রেমে দেখবেন কাঁদছে ঝালমুড়িওয়ালা আর সাংবাদিক পেটানো খবরের ঠোঙায় বিলি করছে ফুল। 
সংসার ভাঙবে আর প্রত্যেকটা নারীকে এ ট্রেনে ফিরে যেতে হবে পুরনো প্রেমিকের কাছে। অদ্ভুত সিকিউরিটি সিস্টেম, যে পুরুষের নারীকে দেখেই ক্রিয়াশীল হয় মাতাল যৌনতা সে ছিটকে পড়ে যাবে প্রবেশপথ পথ হতেই আর অদ্ভুত শব্দে সমাগম হবে আপনাদের স্টেশন। আর যেসব শিশুদের জীবনস্লেট থেকে মুছে যাচ্ছে বাংলা অক্ষর, বাস্তবতার ডাস্টে-- তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকবে হাওয়াই মিঠাই, তারা গোলাপি রঙে জগৎ খাওয়া শিখবে। আর শিখতে শিখতেই তারা এ ট্রেনে পৌছে যাবে সন্তানহীন আরেক স্টেশনে। বড় হয়ে এরাই লিখবে "এ জার্নি বাই হিলারিয়াস ট্রেন।" অর্ধেক বেরনো অন্তর্বাস দেখে বিচলিত না হওয়া চোখের মানুষদের জন্য থাকবে স্বর্গীয় সুরাপানের ব্যবস্থা। 

আমার অন্তর থেকে আসা ট্রেনে আপনাদের সাবধান করা স্বাগতম। এখানে মৃত্যুমূল্য দিতে হতে পারে না মরেই...


দ্যা অ্যাগনস্টিক ১১- কারমাইকেল অপরাহ্ন


সবটুকু আহত থাকলে তোমাকেও মনে হয় ডিসেম্বরের শেষ বিষণ্নতা। মাঝামাঝি গমনে রঙ পোহায় ক্যালেন্ডার ও গত হচ্ছে বছরের ডায়েরি। উনিশে এসে ভুলি পদবীর চেষ্টা ছিলো পনেরোতে। ত্রিসীমানায় হাজার হাজার নয়নগাছে নরম শরম অস্তিত্ব ফল ধরে, পাকতে জানুয়ারির অপেক্ষা কিংবা আরেকবার কৈশর চাষ জ্ঞান।
সবটুকু খুন হলে তোমাকে মনে হয় বৃষ্টির তদন্তে জ্ঞান হারাও। তারিখ এগারোতে শুয়ে থাকা শব্দের অনুশাসনকে মান্য করে বলি, ধার্মিক প্রার্থনায় ধর্মের চেয়ে পাচার কম না। শক্ত করে চার শেকলে আটকে গেছে আমাদের ডিসেম্বরের কল্পছল ভায়োলিন বাদক ও খেলার মাঠের খোড়া সঙ্গী। 

দোকানপাঠের হিসেব এক্সপায়ারড গোলাপজলে ডুব, কারমাইকেল অপরাহ্নে বে আন্দাজ গোলাকার দর্শন, কবিত্বের সূর্যস্নান ডায়েরি।



শতাব্দীর বিধ্বস্ত চোখ

একটি মাঝে থাকা আরেকটি
নিয়ে যাওয়া প্রেমের কাছে
চিনিনি তোমাকে
চোখের ঠাঁ ই,  শতাব্দীর পর দ্বিতীয় অব্দি

আছড়ে পড়া জ্ঞানের দিকে না ফেরা
নক্ষত্রের সংকোচ
কিংবা জোনাকি-গাড়ি
নির্বোধ নাগরদোলা 

মরুঝরের রাস্তায় দুটো যাদুকর

শ্রাবণ কারিশমায় বয়ে গেছে উল্কি--
শুকনো পাতার মাংসে


অন্ধত্ব এক সাদা গহবর
যেখানে চোখ নড়ে সওদাগড়

চোখ নড়ে নেই-য়ের কামড়।

No comments:

Post a Comment